১
মেখলা,তুমি
মেখলা, তুমি একলা বিকেলে আমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজেছিলে
মনে পরে?
মেখলা, তোমার হাতের নরমে আমার হাতকে আশ্রয় দিয়েছিলে
যত্ন করে।
মেখলা, তুমি অষ্টমীতে নীল শাড়িতে আকাশ হয়েছিলে
মনে আছে?
মেখলা, তোমার কস্তুরী মৃগী গন্ধ পেতে আসতে চেয়েছিলাম
আরো কাছে।
মেখলা, তুমি স্নানশেষে খোলা চুলে কার অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলে
জানালাতে?
মেখলা, সেই বৃষ্টিস্নাতা মিষ্টি তোমায় লুকিয়ে দেখেছিলাম
একা ছাতে।
মেখলা, তোমার ঠোঁটের নরম ঠোঁটে নিয়েছিলাম
লুকিয়ে অন্ধকারে;
মেখলা, তোমার বন জোছনা রুপ চোখে হারিয়েছিলাম
বারে বারে।
মেখলা, তোমার কাঠবিড়ালী-লঘু পায়ের আলসেমিতে
নুপুর পরিয়েছিলাম;
মেখলা, তোমার জীবন সাথী হবার
স্বপ্ন দেখেছিলাম।
মেখলা, তোমার চড়ুই পাখি চোখ
শান্তি দিয়েছিল
মেখলা, তোমার আলগা-খোঁপা বাঁধন খুলে
বৃষ্টি নেমেছিল
মেখলা, তুমি পারো নি শেষে হিসেব করতে গিয়ে
আমার নারী হতে
মেখলা, তবে আজ কেন কাঁদো উপুড় হয়ে শুয়ে
প্রতি রাতে?
২
স্বাধীনাকে
আজও তোর ছাদের বাগানে বোগেনভিলিয়া হয়ে ফুটি
তোর আঙ্গুলের ছোঁয়া পাব বলে
আজও তোর ঠোঁটে সিগারেট হয়ে জুটি
তোর ফুসফুসে কার্বন হয়ে জমবো বলে
আজও তোর হাতে গেলাস হয়ে তোর স্নায়ুতে, মস্তিস্কে মাদক হয়ে ছুটি,
নেশাতুর ঘুমের রেশ
আজও সদ্য-গোঁফ-ওঠা কিশোরের চোখে মুগ্ধতা হয়ে ফুটি
তোকে দেখি, নির্নিমেষ
বিয়ে বাড়িতে কতবার বাজারি বেলিফুল হয়েছি
তোর চুলে জড়াবার জন্য।
গত এপ্রিলে মন্দারমুনিতে বালি হয়ে ছিলাম
তোর পায়ের নগ্নতাকে চিনতে; বন্য,
তুই ব্যালকনিতে দাঁড়াস যখন, আজও বৃষ্টি কনা হয়ে
তোর শরীরে আঁতিপাতি খুঁজি
মাঝরাতে;
মেঘলা দুপুরে তুই যখন একলা উপুড়,
তোর ঠোঁটের সব না-ফোটা-কথা বুঝি
নিরালাতে;
তোকে জ্যোৎস্না জলে ভেজাব বলে আজও চাঁদ হয়ে উঠি
আকাশেতে
মানুষ নয়, অন্য কোনো শরীর নিয়ে কতবার সাজিয়েছি ঘুঁটি
তোর শরীর পেতে
তবু, “ভালবাসি” হয় নি বলা;
পারিনি তোকে নিজের করে নিতে -
তুই নয়, প্রাণে ভয় ধরিয়েছে, তোর স্বাধীনতা;
পারিনি আমার পুরুষতান্ত্রিকতাকে মেরে দিতে।
Darun... Chalie ja bhai..
উত্তরমুছুন